রমজানের জন্য যেভাবে প্রস্তুতি নেবেন

আল্লাহর রাসুল (সা.) শাবান মাস থেকেই রমজানের জন্য প্রস্তুত হতেন। তিনি শাবান মাসে অন্য মাসগুলোর তুলনায় বেশি রোযা রাখতেন, বেশি নফল ইবাদত করতেন। আব্দুল্লাহ ইবনে আবি কায়স (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কাছে অন্যান্য মাসের তুলনায় শাবান মাসে নফল রোজা রাখা বেশি পছন্দনীয় ছিল। (সুনানে আবু দাউদ: ২১০১) আয়েশা (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রমজান ছাড়া অন্য কোনো মাসে প্রতিদিন রোজা রাখতে দেখিনি এবং শাবান মাসের চেয়ে বেশি নফল রোজা আর কোনো মাসে রাখতে দেখিনি। (সহিহ বুখারি: ১৯৬৯) আমাদেরও কর্তব্য রমজান আসার আগেই রমজানের রোজা ও ইবাদতের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়া। বেশি বেশি নামাজ পড়া, নফল রোজা রাখা। ছোট বড় জানা অজানা সব পাপের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। গত রমজানে সফর, অসুস্থতা বা অন্য কোনো ওজরের কারণে ছুটে যাওয়া রোজা এখনও কাজা করা না হয়ে থাকলে এ রমজান শুরু হওয়ার আগেই কাজা রোজাগুলো রেখে ফেলা উচিত। রমজানের সাস্থ্যগত প্রস্তুতি: পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যার কারণে যদি রমজানের রোজায় ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা থাকে এবং আগে থেকে প্রস্তুতি নিলে সেটা এড়ানো সম্ভব হয়, তাহলে সেই চেষ্টাও করা উচিত। রমজানে যেন বিনা বাধায় আল্লাহর ইবাদত করা সম্ভব হয়। যাদের গ্যাসটিক বা আলসারের সমস্যা আছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করুন যেন সমস্যা কমে আসে, রোযা রাখতে কষ্ট না হয়। ডায়বেটিসের সমস্যা থাকলে রমযানের আগে থেকেই খাবার দাবারের ব্যাপারে সাবধান হোন। ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সচেষ্ট থাকুন। দিনের বেলায় ঔষধ খাওয়ার রুটিন থেকে থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে রমজানের আগে থেকেই ঔষধ খাওয়ার রুটিন পরিবর্তন করুন। শিবা/জামান

Post a Comment

Previous Post Next Post