দাজ্জালের মরন গেইট | দাজ্জালকে যেখানে হত্যা করা হবে – দাজ্জালের শেষ পরিণতি

 দাজ্জালের মরন গেইট | দাজ্জালকে যেখানে হত্যা করা হবে – দাজ্জালের শেষ পরিণতি


দাজ্জালের মরন গেইট, সম্মানিত ভিজিটর আপনারা কি জানেন দাজ্জালের মরন গেইট কোনটি বা কোথায়? হযরত ঈসা আঃ দাজ্জাল কে কোথায় হত্যা করবেন?
ইজরাইলের একটি বিশাল আকৃতির সাদা স্বেদ পাথরের তৈরী এক ফটকের নিচে হযরত ঈসা আঃ দাজ্জালকে হত্যা করবেন। এবং এই গেইটটি ইতিমধ্যে ইহুদিরা নির্মান করে ফেলেছে, ইজরাইলের রাজধানী তেলাবিব থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে সেই গেইটটি নির্মাণ করা হয়েছে।

আপনারা যদি সেই গেইটটি দেখতে চান তাহলে গুগলে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন। আপনারা জানেন এই দাজ্জালকে হত্যা করবেন হযরত ঈসা আঃ তিনি আকাশ থেকে দুইজন ফেরেশতার কাধে ভর করে সিরিয়ার দামেস্ক শহরে এক বিশাল মসজিদের মিনারে এসে নামবেন।

আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহীহ হাদিস থেকে জানা যায়, হযরত ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে দাজ্জাল নিহত হবে। এই দাজ্জাল মক্কা মদিনা ব্যতিত পৃথিবীর সকল শহরেই প্রবেশ করবে, তার অনুসারীর সংখ্যা হবে প্রচুর। সমগ্র পৃথিবীতে তার ভয়াবহ ফিতনা ছড়িয়ে পড়বে।

খুবই স্বল্প সংখ্যক ঈমানদারেরা তার সেই ভয়াবহ ফিতনা থেকে রেহাই পাবে। ঠিক সেই সময়ে দামেস্ক শহরের পূর্ব পাশে অবস্থিত এক সাদা মিনারের উপর হযরত ঈসা আঃ দুইজন ফেরেশতার কাধে ভর করে আকাশ থেকে অবতরণ করবেন।

জানা যায় সেই মসজিদটি আজ থেকে প্রায় ৭০০ বছর পূর্বেই তৈরী হয়ে গেছে, ঠিক সেই স্হানে যার বর্ননা হযরত আবু হুরায়রা রাহঃ আনহুর হাদিস থেকে জানা যায়, সেখানে সমুদ্রের নিচে আগুন থাকবে আর সেই আগুনের নিচে পানি থাকবে।

শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও তা সত্যি প্রিয় ভাই ও বোনেরা প্রশান্ত মহাসাগরের বিভিন্ন স্হানে পানির নিচ থেকে বর্তমান সময়ে আগুন এবং উত্তাপত্ত লাভা বের হচ্ছে। বিভিন্ন বর্ননা থেকে পাওয়া যায় তখন উত্তাপত্ত আরব দেশ গুলোতে শীতল বরপ জমতে শুরু করবে, আমরা দেখতে পাই গত দুই বছর ধরে সেটাই হচ্ছে।

হাদিসে আরো আছে দাজ্জালের আগমনের সেই সময় ইরাক ও সিরিয়ার মধ্যবর্তী ফুরাত নদী শুকিয়ে যাবে, সেখানে বিশাল এক স্বর্ণের পাহাড় ভেসে উঠবে আর সেই স্বর্ণের পাহাড় নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যুদ্ধে লিপ্ত হবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি বর্তমানে ফুরাত নদী প্রায় ৯৫% শুকিয়ে গেছে এবং দেশের সেনাবাহিনী সেই জায়গাটি ঘিরে রেখেছে। এর আগেই ঈমাম মাহাদি আত্বপ্রকাশ করবেন, তার নাম হবে মোহাম্মাদ অথবা আহম্মদ পিতার নাম হবে আবদুল্লাহ তিনি আল্লাহর রাসুলের বংশধরদের মধ্যে থেকে জন্ম গ্রহণ করবেন।

ঈমাম মাহাদি যেদিন আত্বপ্রকাশ করবে সে দিনটি হবে শুক্রবার এবং মক্কায় ১৫ই রমজানের দিন। আশ্চর্যের বিষয় হলো ২০১০ সাল থেকে মক্কার প্রতিটি ১৫ই রমজান ছিলো শুক্রবার এবং ক্যালেন্ডার দেখলে আমরা জানতে পারবো আগামী ২০২৪ সাল প্রযন্ত প্রতিটি ১৫ তম রমজান রোজ শুক্রবার হবে।





ঈমাম মাহাদি আগমনের সময়কার পরিস্থিতি খুবই ভয়ংকর হবে, আবু হুরায়রা রাঃ আনহু থেকে বর্নিত বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মাদ সাঃ বলেছেন ওই মহান সত্তার কসম যার হাতে আমার প্রান, অবশ্যই মানুষের উপর এমন একটি যামানা আসবে হত্যাকারী বুঝতে পারবেনা কি কারনে সে হত্যা করছে এবং নিহত ব্যাক্তিও বুঝতে পারবেনা কি কারনে তাকে হত্যা করা হচ্ছে।

যে ধনসম্পদ নিয়ে যুগের পর যুগ ধরে মানুষের মাঝে মারামারি কাটাকাটি সেই সময় জমিন তার ভেতরের সমস্ত খনিজ সম্পদ ভূপৃষ্ঠে বের করে দেবে।

আবু হুরায়রা রাঃ আনহু থেকে আরো বর্নিত বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম বলেন, জমিন তার ভূগর্ভস্হ স্বর্ণের টুকরা নিক্ষেপ করে দিবে। সময় খুব দ্রুতগতিতে শেষ হয়ে যাবে। সময়ের বরকত বলতে কিছুই থাকবেনা, সেইসময় আপতিত বিপদ মছিবত এবং ভয়ংকর পরিস্থিতিতির কারনে তাদের সময় কিভাবে কাটবে তা তারা টের পাবেনা।

আনাস ইবনে মালিক রাঃ আনহু থেকে বর্নিত এক হাদিসে এসেছে ওই সময় প্রযন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবেনা, যতদিন না যামানা নিকটবর্তী না হবে। অর্থাৎ এত দ্রুতগতিতে সময় অতিক্রম করবে একটা বছর মাসের সমান, আর একটা মাস সপ্তাহের সমান ; সপ্তাহ ১টা দিনের সমান, ১টা দিন একটা ঘন্টার সমান এবং একটা ঘন্টা আগুনের আঙ্গার জ্বলে ওঠার সমান না হবে।

হাদিসের ব্যাখ্যায় হাদিসের ভাস্যকর মোল্লা আলী কারী রহামাতুল্লা আলাইহি বলেন এটা ঈমাম মাহাদি ও ঈসা আঃ আগমনের সময় ঘটবে তিনি আরো বলেন এই ব্যাখ্যাটি স্পষ্ট কেননা এই বিষয়টি দাজ্জালের বের হওয়ার সময়ে ঘটবে আর দাজ্জালের আবিভার্ব এই দুইজনের আগমনের সময় ঘটবে।


পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকলে, পোস্ট লিংকটি কপি করে আপনার ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে সকল বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে দিন, যেনো তারাও লাভবান হয়।
© Copy করলে ক্রেডিট দেওয়ার অনুরোধ রইলো।

Post a Comment

Previous Post Next Post