হ্যালো ব্রো, স্বাগতম, সবাইকে, আমার আজকের আরেকটা নতুন টিউটোরিয়ালে । আশা করি সবাই খুবই ভালো আছেন। ভালো তো থাকারই কথা, কারন = র সাথে থাকলে সবাই খুব ভালো থাকে । আর ভালো থাকার জন্যই মানুষ আসে। চলুন শুরু করা যাক।
আপনারা নিশ্চয় পোস্টের টাইটেল টি দেখে তারপর পোস্টে এসেছেন।
আজকে আমি আপনাদেরকে একটি অসাধারণ একটি বই সম্পর্কে বলবো।
বইটির নাম: হাইজেনবার্গের গল্প
বইটি লিখেছেন বর্তমানকালের জনপ্রিয় এডুকেশন এর জন্য জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুল এর টিচার – শামীর মোন্তাজিদ
টাইপ: এটি মূলত পদার্থবিজ্ঞান, মেডিক্যাল সায়েন্স, বায়োলজি নিয়ে লেখা মজার মজার ২৫টি গল্পের সংকলন l
মোট পাতা: 92 টি
ভাষা: বাংলা
প্রকাশকাল: 2019
পার্সোনাল রেটিং: ৯/১০
বইটি সম্পর্কে কিছু কথা : বিজ্ঞানের মাঝেও যে একটা মজা আছে সেটাই বইটি পড়লে বুঝা যায়। আমরা আমাদের পাঠ্যপুস্তকে যে বিজ্ঞান বিষয়ক বইগুলো পরি , সেগুলো আসলে আমাদের কে কোন ভাবে মজা দিতে পারে না l এগুলো পড়তে পড়তে সাইন্স সম্পর্কে আমাদের একটা একঘেয়েমিতা চলে আসে। তবে সাইন্স এর মাঝেও যে একটা মজা আছে সেগুলো এই বইটা পড়লে বোঝা যায় । বিজ্ঞান বিষয়টা কেউ যে গল্প-উপন্যাসের মত করে শেখা যায়, সেটাই এই বই টি তে প্রকাশ পেয়েছে। অনেক সুন্দর সুন্দর কাহিনীর মাধ্যমে বিজ্ঞান সম্পর্কে অনেক কিছু বলা হয়েছে এবং অনেক নতুন নতুন তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বইটি পড়লে আপনার একবারের জন্যও মনে হবে না যে আপনি সাইন্স পড়ছেন বরং আপনার মনে হবে যে আপনি কোন উপন্যাস অথবা কোন গল্প পড়ছেন । একটা উদাহরণ দেওয়া যাক: যেমন মনে করুন আমরা জানি , কোন একটি পদার্থকে যদি ফোটানো হয় তাহলে সেটি বাষ্পে পরিণত হয়। কিন্তু একটি ফুটন্ত পানিতে যখন একটি ডিমকে দেওয়া হয়, তখন সেটির ভেতরে থাকা তরল পদার্থ গুলো গ্যাসে পরিণত হওয়ার বদলে কঠিনে পরিণত হয় । কেনো এরকম টিকলো বলুন তো? এরকমই নানান মজার মজার কাহিনী নিয়ে এই বইটি লিখেছেন লেখক। তাছাড়াও বিজ্ঞানের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা- আমাদের শরীরে যে ভাইরাসের বিরুদ্ধে এন্টিবায়োটিক দেওয়া হয় সেগুলো উৎপত্তি, এগুলো কিভাবে কাজ করে এবং অন্যান্য আরো অনেক ব্যাখ্যা এই বইটিতে লেখা রয়েছে। ডিএনএ টেস্ট আবিষ্কার কিভাবে হল , কিভাবে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে মানুষ উপকৃত হয়েছে, ইংল্যান্ডের রাজার সাথে ডিএনএ টেস্ট নিয়ে কি কাহিনী ঘটেছিল, এরকম অনেক সমসাময়িক বিজ্ঞান সম্পর্কে অনেক বিষয়ই এ বইটিতে বর্ণনা করা হয়েছে। আর একজন সায়েন্সের স্টুডেন্ট হিসেবে কোন একজন মানুষের অবশ্যই উচিত বইগুলো পড়া যাতে সে বিজ্ঞান সম্পর্কে আরও সুন্দর এবং সম্যক ধারণা অর্জন করতে পারে। আমি বইটি পড়েছি এবং পার্সোনালি রেকোমেন্ট করছি আপনাকেও বইটি পড়তে। আমি বইটির রেটিং 10 এর মাঝে ৯ দিতে চাই । বইটি চাইলে আপনি লাইব্রেরী থেকে সংগ্রহ করতে পারেন অথবা রকমারি থেকে কিনে নিতে পারেন। নিচে আমি রকমারির লিঙ্ক দিয়ে দিলাম ।
এছাড়াও অনলাইনে বইটির পিডিএফ পেয়ে যাবেন। তবে ট্রিকবিডি এর কপিরাইট ইস্যু থাকার কারণে আমি বইটির পিডিএফ শেয়ার করতে পারলাম না। তারপরও যদি কারও পিডিএফ দরকার হয় আপনি আমাকে ফেসবুকে ইনবক্স করতে পারেন ।আমি আপনাকে পিডিএফটি দিয়ে দিব। তাহলে সবাইকে বইটি পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে আমি আমার আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি।
মানুষ মাত্রেই ভুল হয় , তাই পোষ্টে কোন ভুল থাকলে দয়া করে মাপ করে দিয়েন, আর প্লিজ কমেন্টে লিখে ভুলগুলা শোধরানোর সুযোগ করে দিয়েন।
কোন কিছু না বুঝলে বা কোন কিছু জানার থাকলে, আমাকে কমেন্টে জানান।