এসএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে ডিএমপির ১৮ সুপারিশ

 

এসএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে ডিএমপির ১৮ সুপারিশ





আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলা ১ম পত্র দিয়ে শুরু হচ্ছে ২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। শিক্ষা বোর্ডের রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা শেষ হবে ১২ মার্চ। আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে আজ থেকে মাসব্যাপী দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। এ সময় পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে যাওয়া সহজ করতে ১৮টি সুপারিশ করেছে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ। 

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে মিডিয়া সেন্টারে এ সুপারিশের কথা জানান ডিএমপির ট্রাফিকের অতিরিক্ত কমিশনার মুনিবুর রহমান। 

তিনি বলেন, পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে যাওয়া সহজ করতে ট্রাফিকের কুইক রেসপন্স টিম কাজ করবে। পাশাপাশি প্রতিটি কেন্দ্রের আশপাশে একাধিক ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করবে। কেন্দ্রের আশপাশের সড়কে হকার থাকতে দেয়া হবে না বলেও জানান এই কর্মকর্তা। 

ঢাকা মহানগরীতে ১২২টি কেন্দ্র আছে জানিয়ে অতিরিক্ত কমিশনার পরীক্ষা কেন্দ্রের পাশের সড়কে অযাচিত হর্ন না বাজাতে অনুরোধ করেন। গড়ে প্রতিদিন শতাধিক ব্যাটারিচালিত রিকশার ডাম্পিং করা হচ্ছে জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, অবৈধ যেকোনো বাহনের বিরুদ্ধে ট্রাফিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।

এবার এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাতে অংশ নেবে। মোট ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে হবে এই পরীক্ষা। 

বাংলা ১ম পত্র দিয়ে শুরু হচ্ছে ২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ও দুই পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।

এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীকে ১৪টি নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে। 

নির্দেশনাগুলো হলো—
১. এসএসসির প্রতি বিষয়ের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই কেন্দ্রে আসন গ্রহণ করতে হবে;

২. প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে;

৩. প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। উভয় পরীক্ষার মধ্য কোনো বিরতি থাকবে না;

৪. পরীক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা শুরুর তিন দিন আগে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে;  

৫. শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলোতে এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে পাঠাবেন;

৬. পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না;

৭. পরীক্ষার্থীদের সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে;

৮. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না;

৯. কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা (সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক) নিজ বিদ্যালয়ে বা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে;

১০. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে;

১১. কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি বা পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবে না;

১২. সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক পরীক্ষার পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতি ব্যবহার করতে হবে;

১৩. ব্যবহারিক পরীক্ষা নিজ নিজ কেন্দ্র বা ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।  

১৪. পরীক্ষার ফল প্রকাশের ৭ দিনের মধ্যে পুনঃ নিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।





Post a Comment

Previous Post Next Post